আজ পবিত্র শবে বরাত : কী করনীয় ও কী বর্জনীয়
♦আজ পবিত্র সবে বরাত♦
শাবানের মধ্যরাত্রির ফযীলত:
ইমাম তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, এক রাতে আয়েশা (রা.) ঘুম থেকে উঠে পড়লেন কিন্তু জনাব মুহাম্মদকে (স.) কে বিছানায় দেখতে পেলেন না। তিনি মহানবীকে [স.] খুঁজতে বের হলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দেখতে পেলেন। মহানবী [স.] বললেন, ১৫ শাবানের রাতে আল্লাহ সর্বনিম্ন আকাশে নেমে আসেন এবং লোককে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করেন । আরবি বারো মাসের মধ্যে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মাস হলো শাবান।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "যখন শা'বানের মধ্য রাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সূর্য ডোবার সাথে সাথে আল্লাহ তা'আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন:
ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করে দেব।
রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব।
সমস্যাগ্রস্থ কেউ কি আছে যে আমার কাছে বিমুক্তি চাইবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব।
এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে?
এভাবে ফজর পর্যন্ত তিনি বলতে থাকেন"। হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন।
এই রাতে করণীয় ও বর্জনীয়
এই রাতের বিশেষ পদ্ধতির কোন নামাজ বা আমল নেই। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে যত ইচ্ছা নফল নামাজ পড়া যাবে। তেলাওয়াত জিকির করা যাবে, দরূদ শরীফ, ইসতেগফার পড়া ও দোয়া করা যাবে। শাবানে আল্লাহ পাকের দরবারে বান্দার বাৎসরিক আমল পেশ করা হয়। এ জন্য নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেন- রোজাদার অবস্থায় আমার আমল আল্লাহ দরবারে পেশ হওয়া আমার কাছে পছন্দনীয়।এই রাতে কমপক্ষে ২ রাকাত করে ১২ রাকাত নফল নামায ও ৪ রাকাত ছালাতুত্ তাছবীহ্ নামায পড়া অতি উত্তম।
নামাযের নিয়ত আরবীতে “নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা‘আ-লা- রাক‘আতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা‘বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার”।