চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে বাধা,আক্ষেপে যা বললো
আজকে চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখলাম একাত্তরের হায়েনাদের অত্যাচারের পুনরাবৃত্তি। নারীদের উপর অকথ্য ভাষার অত্যাচার। ছেলেদেরকে আন্দোলনে বাধা দিয়ে আমার বোনদেরকে অনুমতি দেয়া হয় বিনিময়ে অকথ্য ভাষা শুনাতে পারবে বলে। বোনেরা বীরাঙ্গনার ভূমিকা পালন করতে পেরেছে। আমাদেরকে প্রক্টর স্যার, পুলিশ, ছাত্রলীগ সবাই বাধা দিয়েছে, আমাদের কয়েকজনকে আহত করেছে। বোনদেরকে স্যালুট জানাই। আমরা বোনদের সাথে সাথেই ছিলাম, আমাদের গর্জন কি তারা এতই ভয় পায়? আমাদের মুখ থেকে স্লোগান বের হওয়ার পরেই আমাদেরকে আলাদা করে দেয়া হল। ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমলেও তো মিটিং, মিছিল, মানববন্ধন অবাধে করা যেত। তাহলে আমরা কি দেশকে ১৭৫৭ সালেরও পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছি না? ব্রিটিশ শাসন হতে , পাকি হায়েনাদের হতে যেসব সূর্য সৈনিকেরা প্রাণ দিয়েছিল দেশকে কি ৩০০ বছর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য??? বর্তমান অবস্থা যদি তারা জানতেন তাহলে কি তারা জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গনে নামতেন? ৭১ এর প্রসঙ্গই টানি জাতির জনক যদি জানতেন এ দেশেরই কুলাঙ্গার রা তার প্রাণ হরণ করবেন, এ দেশেরই কুলাঙ্গাররা তার অর্জিত গণতন্র গ্রাস করবেন, গলা টিপে হত্যা করবেন তাহলে কি আর তিনি তার যৌবন জেলে কাটিয়ে দিতেন? তিনি কি জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্ব করতেন?